পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার ৩৯৯টি। প্রতিবছর এসব মসজিদের প্রায় সবগুলোতেই খতমে তারাবি হয়। সে হিসেবে প্রায় ৫ লাখের বেশি হাফেজ খতমে তারাবিতে ইমামতি করেন। কারন ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়তে প্রতি মসজিদে ২ জন ইমাম লাগে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখলে বোঝা যাচ্ছে এবার জামাতে তারাবি নামাজ হবে না। এদিকে সৌদিসহ অনেক দেশে তারাবির নামাজ মসজিদে হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশে রমজান শুরু হবে ২৫ এপ্রিল অথবা ২৬ এপ্রিল। অন্যান্য বছরে এই সময়ের মধ্যে সব মসজিদেই মোটামুটি খতমে তারাবির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। কিন্তু এবার করোনার কারনে জামাতে তারাবি হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। রমজান মাসে মুসলিমরা এশার নামাজের পর বিতরের আগে অতিরিক্ত ২০ রাকাত নামাজ পড়ে থাকেন। তারাবির নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। প্রতিবছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জামাতে খতমে তারাবিতে অংশ নেয়ার জন্য মসজিদগুলোতে ভিড় করেন।
কিন্তু এবার অনেক দেশের মসজিদে খতমে তারাবি হবে না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক দেশে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে মসজিদ বন্ধ করা না হলেও শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য দিনে মসজিদে সর্বোচ্চ ৫ জনের নামাজ পড়ার সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।
রমজান মাসে গুরুত্বের সঙ্গে খতমে তারাবি পড়া হয়, মসজিদগুলো মুখরিত হয় কুরআন তেলাওয়াতের সুরে। হাফেজরা কুরআন খতম করেন তারাবির নামাজে। হাফেজদের তেলাওয়াতে মুগ্ধ হয় সাধারণ মুসল্লি। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক হাফেজ বিদেশেও যান তারাবির নামাজের ইমামতি করতে।