বিপিএলে তাঁর দল ফরচুন বরিশাল বিদায় নিয়েছিল এলিমিনেটর থেকে। সাকিব আল হাসান বরিশালের হারের পরদিনই পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলার জন্য। দলটির ‘রিজার্ভ সাপ্লিমেন্টারি পিক’ হিসেবে সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিএসএলে তাঁর থাকার কথা ছিল। করাচি কিংসের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেই আগেভাগেই পিএসএল ছেড়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। পিএসএল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানা গেছে, ব্যক্তিগত কারণেই সাকিব পিএসএল ছেড়েছেন।
করাচি কিংসের বিপক্ষে খেলা ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে তেমন কিছু করার সুযোগ পাননি। ইনিংসে একেবারে শেষে নেমে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। বল হাতে অবশ্য ভালো কিছু করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ৪ ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
কাল পিএসএলের ওয়েবসাইটে সাকিবের পেশোয়ার জালমি ছেড়ে যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করা হয়। পেশোয়ারের স্কোয়াড নিয়ে হালনাগাদ বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি পারিবারিক কাজ থাকায় পেশোয়ার জালমি ছাড়তে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। তার জায়গায় আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে নেওয়া হয়েছে। পেশোয়ার জালমি প্লে–অফে উঠলে পিএসএলে ফিরবেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।’
বিবৃতিতে সাকিব নিজেও বলেছেন, ‘জরুরি ব্যক্তিগত কাজ থাকায় পিএসএল ছাড়তে হচ্ছে আমাকে। এখানে আমার অনেক ভক্ত আছেন জানি, তাঁদের সামনে সব ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলাম। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পেশোয়ার জালমির হয়ে ভূমিকা রাখতে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পর্বের মঞ্চে আমি ফিরব।’
বিপিএলে দারুণ খেলেছেন সাকিব। ১৭৪.৪১ স্ট্রাইক রেট ও ৪১.৬৬ গড়ে ব্যাট হাতে করেছেন ৩৭৫ রান। ছিল তিনটি ফিফটিও। তবে এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশাল হেরে যায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। সে ম্যাচে তাঁর ব্যাটিংয়ে না বিতর্ক ছড়ায়।
পিএসএলে পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল সাকিবের। করাচির বিপক্ষে মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে পরের ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও লাহোর কালান্দার্স—এই তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল সাকিবের।