দ্বিতীয় দফা বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সোমবার রাত ১০টা ২৬ মিনিটে ঢাকা এসে পৌঁছান তিনি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদকর্মীদের ভিড়ের মধ্য দিয়েই বিসিবির গাড়িতে করে হোটেলে চলে গেছেন এই শ্রীলঙ্কান। এক সপ্তাহ পরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কেমন করতে পারে বাংলাদেশ? ইংলিশ ক্রিকেট দলের কথা ভাবলেই সবার আগে মনে আসে, গতিময় পেস বোলিংয়ের কথা। টাইগাররা কি পারবে পেস ঝড় সামাল দিয়ে ভালো কিছু করতে?
বিসিবি পরিচালক এবং বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য মনে করেন না, ইংল্যান্ডের পেস বোলিং খুব একটা বিপদে ফেলতে পারবে টাইগারদের।
ইংল্যান্ড সিরিজে চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সুজন বলেন, ‘ইংল্যান্ড বিশ্বসেরা দল। চ্যালেঞ্জ তো সবখানে। নিশ্চিতভাবে আমাদের মেনে নিতে হবে যে, ওরা আমাদের থেকে বেটার সাইড। আমাদের হোম কন্ডিশনে আমরা যে ভালো দল, এটা তো আমরা সবসময় প্রমাণ করেছি। কিন্তু সেটা মুখে বললে হবে না, কাজেও করতে হবে।’
‘শুধু এ কন্ডিশন না, গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকাতে গিয়ে ওদের ওয়ানডে হারিয়েছি আমরা। ওয়ানডে সংস্করণে নিশ্চিতভাবে আমরা শক্তিশালী দল এবং আমি একটা সিরিজ জয়ের আশা করতেই পারি। সত্যি কথা বলতে আমি সিরিজ জয়ের আশা করি’-যোগ করেন সুজন।
ইংল্যান্ড ফাস্ট বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু দেখেন না সুজন। তার কথা, ‘এখন তো আমরা ১৪০-১৪৫ এ খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার মনে হয় যারা জাতীয় দলে খেলে, লিটন দাস বলেন কিংবা সাকিব আল হাসান বলেন বা মুশফিকুর রহিম; টপ অর্ডারে যারা ব্যাটিং করে, তারা কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে ওরকম উইকেটেও ভালো ব্যাটিং করেছে, প্রমাণ করেছে। আমি মনে করি না যে, খুব কঠিন হবে। আর আমাদের উইকেট থেকে পেসাররা যে খুব একটা বাড়তি সুবিধা পাবে, তাও কিন্তু হবে না।’