আবার আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। মার্চের ফিফা উইন্ডোতে জামাল ভূঁইয়ারা তিন জাতি টুর্নামেন্ট খেলবে সিলেটে। প্রতিপক্ষ ব্রুনেই ও সেশেলস। এই টুর্নামেন্টে ভালো করার জন্য জাতীয় দলকে সৌদি আরবে পাঠানোর চেষ্টা করছে বাফুফে। সাথে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে পরিকল্পনায়। সব কিছুইরই মূল লক্ষ্য তিন জাতি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। রোববার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এই টার্গেটের কথা জানান কাজী সালাহউদ্দিন। বাফুফে সভাপতি স্পষ্ট করেই বলেন, আমার চাওয়া তো ট্রফি।
এরপরই উল্লেখ করলেন, যারা জাতীয় দলে খেলবে সেই ক্লাব ফুটবলাররা আনফিট। আমি দেখলাম ক্লাবের ফুটবলাদের ফিটনেস ৬০ ভাগ। এই ফিটনেসে তারা ক্লাব লেভেলে খেলতে পারে। কিন্তু এটা দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়।
সালাহউদ্দিন দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয় দলের কোনো ট্রফি নেই। ২০০৯ সালের সাফ থেকে ২০২১ পর্যন্ত কোনোবারই ফাইনালে খেলা হয়নি। মাঝে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, নেপাল ও কিরগিজস্তানের তিন জাতি ফুটবলেও ব্যর্থতা। ২০২১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় দলে চার কোচকে দায়িত্ব দেয়া। জেমি ডে-কে বরখাস্ত করার পর তার পাওনা নিয়ে ফিফা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সালাহউদ্দিন জানান, জেমির টাকা দেয়ার সব প্রক্রিয়াই চলছে।’ এই ইংলিশ কোচকে বাদ দেয়ার জন্য তার ব্যর্থতাকেই সামনে আনলেন বাফুফে সভাপতি। জানিয়ে দেন, সাফল্য না পেলে বর্তমান কোচ হাভিয়ার কাবরেরাকেও বাদ দেয়া হবে।
ক্লাব পর্যায়ে ফুটবলারদের আনফিট থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্লাবে ফুটবলাররা আনফিট থাকায় তাদের দিয়ে ভালো জাতীয় দল গড়তে পারছি না। কিছু ক্লাবের ফুটবলার ফিট। আবার অন্য ক্লাবের খেলোয়াড় আনফিট। দুয়েকটা টপ ক্লাস ক্লাব আছে। এর মধ্যে ভালো করার চেষ্টা করছে বসুন্ধরা কিংসকেই। আবাহনীর ফর্ম তো পড়তির দিকে। এর রেজাল্টই তো এএফসি কাপে।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মান নিয়ে সাফের এই সভাপতির মতে, এই লিগ সাফ অঞ্চলে সেরা। তবে এর বাইরের সাথে তুলনা করলে বেশ পিছিয়ে।
তিনি যোগ করেন, যদি আমার কাছে টাকা থাকতো তাহলে, জাতীয় দলের ২৫ ফুটবলারকে কিনে নিতাম। ঠিক নারী দলের মতো। নারী দলের রেজাল্ট পাওয়ার কারণ, তারা আমার অধীনে থাকে। আমি তাদের সারা বছর ট্রেনিং করাই। কিন্তু ছেলেদের তা পারি না। এজন্য সরকারের কাছে টাকা চেয়েও ব্যর্থ।’ এ জন্য ফের সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা চাইলেন তিনি।
তিন জাতি ফুটবলে বাংলাদেশ খেলছে র্যাংকিংয়ে ১৯০-এর ঘরে থাকা দুই দলের সাথে। অথচ বাফুফে সভাপতি প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, আমরা শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবো।
সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আমি শক্তিশালী দলকেই চাই প্রতিপক্ষ হিসেবে। প্রয়োজনে তাদের কাছে ৩-৪ গোলে হারতাম। কিন্তু তেমন দল তো পাইনি। তাই কাছাকাছি শক্তির দলের সাথে খেলতে বাধ্য হচ্ছি।